ভাল ও মন্দ বিষয়ে

তোমাদের মধ্যে যা কিছু ভালো ও শুভ আমি শুধু তা-ই তোমাদের বলতে পারি, মন্দ ও অশুভ কোন কিছু নয়
নিজের ক্ষুধা-তৃষ্ণায় আর্ত শুভ ভিন্ন অশুভ অন্য কিছু নয়


বস্তুতঃ শুভ ক্ষুধার্ত হ’লে অন্ধকার গুহা থেকেও তার খোরাক সন্ধান করে
আর তৃষ্ণার্ত হ’লে নিস্প্রাণ বারিধি থেকেও তার (প্রাণরস) পান করে।

একাত্ম আত্মস্থ যখন তোমরা, তোমরা তখন ভালো ও শুভ হও
একাত্ম আত্মস্থ না হলেও তোমরা কিন্তু মন্দ ও অশুভ নও
পরিত্যক্ত বসতবাটি তস্করদেও (দুষ্কর্মের) ঘাঁটি নয, তা শুধুই পরিত্যক্ত বসতবাটি ভিন্ন আর কী
হালহীণ জলজাহাজও দিগ্ভ্রান্ত হ’য়ে ভেসে বেড়াতে পারে দ্বিপ দ্বিপান্তরে, তবুও অতলান্তে তলিয়ে যায় কি
তোমরা ভালো যখন তোমরা নিজেদের স্বেচ্ছায় বিলিয়ে দাও 
তোমরা তখনও মন্দ নও যখন তোমরা স্বার্থপ্রয়াসে নিজেদের বিলিয়ে দাও
তোমরা যখন স্বার্থপ্রয়াসী তখন তোমরা একটা বৃমূল মৃত্তিকাব আঁকড়ে ধরে পান কর তার স্তন্যরস
কিন্তু ফল মূলকে কখনই বলে না, ’আমার মত পরিপক্ব ও পরিপূর্ণ হও, বিলিয়ে দাও তোমার প্রাচুর্য্যের প্রাণরস’
দাক্ষিণ্য নিবেদনের তাগিদ যেমন ফলের 
দাক্ষিণ্য গ্রহণের তাগিদ তেমনই মূলের।

তোমরা বাক্যভাষে সহজ সচেতন যখন তখন তোমরা অবশ্যই শুভ ও ভালো
তোমরা নিদ্রায় নিদ্রিত অচেতন যখন তোমাদের জিহ্বা স্খলিত উদ্দেশ্যবিহীণ তখনও তোমরা মন্দ নও, (তোমরা তখনও ভালো)
স্খলিত জিহ্বার বচনও অবল জিহ্বাকে সবল করতে পারে
তোমরা ভালো যখন স্থির লক্ষে বলিষ্ঠ পদক্ষেপে হেঁটে বেড়াও, (তখন তা ভালো না হ’য়ে কি পারে)
এমন কি খঞ্জ পদক্ষেপে হেঁটে গেলেও তোমরা মন্দ নও
খঞ্জ যারা তারাও পিছনে হাঁটে না কখনও
তোমরা যারা শক্তসমর্থ ও ক্ষিপ্রগতি, দোহাই তোমাদের, খঞ্জদের সামনে করুণায় খঞ্জগতিতে হেঁটে যেয়ো না কখনও
তোমরা হাজারো ভাবে ভালো, তোমরা মন্দ নও যখন তোমরা ভালোও নও
তবে তোমরা বড়ই স্বভাবকুঁড়ে ও দীর্ঘসূত্রী, (এ কি কখনও ভালো হ’তে পারে)
মৃগ কি কখনও কচ্ছপকে দৌড়ছুট শেখাতে পারে?

তোমাদের বিপুল সত্তার নিমিত্তে যে তুমুল আকাঙ্খা তাতেই তোমাদের শুভত্ব, সেই আকাঙ্খা তোমাদের সবারই
কিন্তু তোমাদের কারুর মধ্যে সেই আকাঙ্খা মূষল ধারায় বয়ে চলেছে সমুদ্রসঙ্গমে, তাতে পর্ব্বতকন্দরের রহস্য ও বনবীথিকার গীতসঙ্গীত বরাবরই
অন্যদের মধ্যে তা নিস্তরঙ্গ প্রবাহে বহু বিভঙ্গে গতিপথ হারিয়ে
সমুদ্রসৈকতে ইতিবৃত্ত হওয়ার মাঝেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে আটকে পড়ে জড়িয়ে
বহু-অভিলাষী যে সে যেন না স্বল্প-অভিলাষীকে বলে, ’কেন তুমি এত ধীরগতি, কেন এত থমকে চল তুমি?’
যথার্থ শুভার্থী যে সে কখনই উলঙ্গকে বলে না, ’কোথায় বস্ত্র তোমার?’ কিংবা কোন গৃহহীণকে বলে না, ’এ কী দশা করেছ তোমার গৃহের তুমি।’


সূত্র:দরবেশ,সামহোয়ারইনব্লগ.কম

2 মন্তব্য(গুলি):

Unknown বলেছেন...

শেষ দুটি লাইনের ভাবার্থ জানতে চাই....

Unknown বলেছেন...

শেষ দুটি লাইনের ভাবার্থ জানতে চাই....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Free Website TemplatesFreethemes4all.comFree CSS TemplatesFree Joomla TemplatesFree Blogger TemplatesFree Wordpress ThemesFree Wordpress Themes TemplatesFree CSS Templates dreamweaverSEO Design