বন্ধু তো আসলে মূর্ত প্রয়োজন।
বন্ধু তো তেমন জমি যেকানে বুনবে বীজ ভালোবেসে
ফসল তুলবে শুধু ধন্যবাদ দিয়ে।
বন্ধুই শক্ত পাটাতন, বন্ধুই শীতের আগুন।
কেননা, বন্দুকে তুমি খুঁজে নাও দারুণ ক্ষুধায়
বন্ধুকে খোঁজ তুমি শান্তি ফিরে পেতে।
বন্ধু যখনই কিছু বলে
তোমার অসম্মতি আছে ’বলে ভয়ার্ত হয়ো না;
অপ্রকাশ রেখোনা সম্মতি।
বন্ধু নীরব থাকলে তোমার হৃদয় যেন মনোযোগী হয়
তার হৃদেয়র বার্তা শোনে;
নরিবতা জন্ম দেয় সব ভাবনার, আকাঙ্ক্ষার, সব প্রত্যাশার-
সে সবের ভাগীদার তুমি-
এমন সানন্দে কেউ ভাগ চাইবে না।
বন্ধুর কাছ থেকে সরে গেলে কাতর হয়ো না।
কেননা বন্ধুর তুমি যা-কিছু বেসেছো ভালো সে যদি না থাকে
সে সব পরিস্ফুট হবে;
যেমন আরোহী ভালো করে পর্বত দেখে নিতে পারে
দূরবর্তী সমতল থেকে।
বন্ধুতায় নিহিত রেখোনা কোন উদ্দেশ্যকে-
আত্মা গভীর করা ছাড়া।
কেননা যে ভালোবাসা প্রত্যাশা করে কোনও কিছু
ভেঙ্গে ফেলে সব রহস্যকে-সেতো ভালোবাসা নয়;
শুন্য লাভ যার।
তোমার যা-কিছু ভালো বন্ধুর জন্যে তুলে রাখ।
বন্ধুকে যেমন জানতে দেবে ভাঁটার ইতিকথা
তেমনই জানতে দিয়ো তোমার জোয়ার।
বন্ধুকে খোঁজো কেন তুমি? সময় কাটাবে শুধু বলে?
ফিরে পেতে বাঁচার প্রহর খোঁজো তাকে।
তা না হলে প্রযোজন হয়তো মিটে যাবে
হৃদয়ের শুন্যতা ঘুচবে না কখনও।
বন্ধুতার মধুরিমার হাসি দিয়ে ভরে দিয়ো যেন-
আনন্দকে ভাগ করে নিয়ো;
কেননা ক্ষুদ্র যতো বস্তুর শিশিরে হৃদয়
খু’জে পায় সুপ্রভাত এবং প্রসন্ন হযে উঠে্ ।।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন