ভালোবাসার ইশারা পেলে তাকে অনুসরণ কর,
তার পথ যদিও দুর্গম ও বন্ধুর বড়,
তার পক্ষপুট প্রসারিত হ’লে তাতে আত্মসমর্পিত হও, তোমরা সমর্পণ কর নিজেদেরকে
তার পক্ষপুটের গুপ্ত গুপ্তি ক্ষতবিক্ষত করতেও পারে বা তোমাদেরকে
তার ব্যক্ত অভিব্যক্তিতে তোমরাি আস্থান্বিত হও অবলীলায়
তার কন্ঠস্বরে স্বপ্ন ভঙ্গ হতেও পারে বা তোমাদের যেমন উত্তরীয় বাত্যাবহে ঝঞ্ঝাবিধ্বস্ত হয় উদ্যানবাগিচা, হায়!
ভালোবাসা তোমাদেরকে শিরঊষ্ণীষে অভিষেক করবে তোমাদেরকে ক্রশে বিদ্ধ করবে
ভালোবাসা তোমাদেরকে সম্প্রসারিত করবে আবার সঙ্কুচিতও করবে
ভালোবাসা তোমাদের সমুচ্চতায় উঠে তোমাদের রৌদ্রে শিহরিত পেলব শাখাপ্রশাখাকে আলুলায়িত করবে
ভালোবাসা আবার তোমাদের মৃত্তিকামূলে নেমে এসে তাকে মার্তণ্ডে জেরবার করবে।
ভালোবাসা তোমাদের শস্যের আটির মত নিজের হৃদয়বক্ষে ধারণ করবে
তোমাদেরকে মাড়াই করে খোসামুক্ত নিরাবরণ করবে, ঝাড়াই করে তুষ থেকে আলাদা করবে
তোমাদেরকে পেষাই করে শুভ্রতামণ্ডিত করবে
তোমাদেরকে দলাইমলাই করবে আর তোমরা কমনীয় নমনীয় হ’য়ে উঠবে
এবং তারপর ভালোবাসা তোমাদেরকে পূত অগ্নিতে উৎসর্গ করবে আর তোমরা পরমেশ্বরের পবিত্র ভোজনের রুটী হ’য়ে উঠবে।
ভালোবাসা তোমাদের সাথে এইমত আচরণ করবে আর তেমরা তোমাদের গভীরগোপন হৃদয়রহস্য বিদিত হ’য়ে উঠবে
আর সেই অভিজ্ঞানে তোমরা জীবনহৃদয়ের আসঙ্গ সঙ্গী হ’য়ে উঠবে।
কিন্তু ভয়ে শঙ্কায় কাপুরুষতায় যদি তোমরা ভালোবাসার সুখ ও শান্তির সন্ধানী হও
তাহলে বরং তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে নিরাবরণ নিরাবৃতিকে ঢেকে লও, ভালোবাসার পেষণাগার থেকে তোমরা মুক্ত হও
তোমরা ঋতুহীণ নৈঋত পৃথিবীতে ফিরে যাও, সেখানে হাসতে পারবে তবু হাসবে না, কাঁদবে তবু অশ্রুনিপাত হবে না, সেই পৃথিবীতেই তোমরা ফিরে যাও, তোমরা মুক্ত হও।
ভালোবাসা নিজেকে ছাড়া কিছু অর্পণ করে না, নিজের থেকে ছাড়া কিছুই গ্রহণ করে না
ভালোবাসা অধিকার করে না, অধিকৃতও হয় না
ভালোবাসা ভালোবাসাতেই সম্পূর্ণ, আর কিছুতেই সম্পূর্ণ হয় না।
ভালোবাসলে কখনই তোমরা কেউ বোলো না ”আমার হৃদয়ের অধীশ্বর ঈশ্বর”, বরং বোলো ”অধীশ্বর ঈশ্বরের হৃদয়ে আমি অধীস্থ”
এবং কখনই ভেবো না তোমরাই ভালোবাসার পথনির্দ্দেশ, ভালোবাসার যোগ্য হ’লে ভালোবাসাই হবে হবে তোমাদের পথনির্দ্দেশ, তোমরাই হবে ভালোবাসাতে অধীস্থ।
নিজেকে চরিতার্থ করা ছাড়া ভালোবাসার আর কোন কামনা নাই
কিন্তু ভালোবাসলে তোমরা ভালোবাসার কামনানিষিক্ত হও, তোমাদের কামনা ভালোবাসানিষিক্ত হউক্ তাই:
দ্রবণে দ্রবীভূত বহমান স্রোতোধারায় যেমন রাত্রিনিশীথে কলতান মন্ত্রণা
আত্মজ চেতনায় ভালোবাসা মরমী হৃদয়ের আকুতি যন্ত্রণা
এবং সানন্দে আত্মবিদীর্ণ রক্তাক্ততায় ভালোবাসার অভিবাসন।
সুপ্রভাতের পক্ষবিহারী ডানায় হৃদয়ের উন্মেষে অনুবর্তী দিবসরাত্রির কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন, ভালোবাসায় অভিবাসন
দ্বিপ্রাহরিক বিশ্রান্তে পরমানন্দে ভালোবাসার অনুধ্যান
সায়াহ্ণলগ্নে নিজবাসে আবার নীড়ে ফিরে এসে দিবসান্তের আনন্দধ্যান
এবং তারপর তোমার প্রার্থিত প্রেমাষ্পদের প্রতি আপন ওষ্ঠাধরে নিঃসৃত প্রার্থনা সঙ্কীর্তণে নিদ্রাধ্যান।
সূত্র: সামহোয়ারইনব্লগ.কম
তার পথ যদিও দুর্গম ও বন্ধুর বড়,
তার পক্ষপুট প্রসারিত হ’লে তাতে আত্মসমর্পিত হও, তোমরা সমর্পণ কর নিজেদেরকে
তার পক্ষপুটের গুপ্ত গুপ্তি ক্ষতবিক্ষত করতেও পারে বা তোমাদেরকে
তার ব্যক্ত অভিব্যক্তিতে তোমরাি আস্থান্বিত হও অবলীলায়
তার কন্ঠস্বরে স্বপ্ন ভঙ্গ হতেও পারে বা তোমাদের যেমন উত্তরীয় বাত্যাবহে ঝঞ্ঝাবিধ্বস্ত হয় উদ্যানবাগিচা, হায়!
ভালোবাসা তোমাদেরকে শিরঊষ্ণীষে অভিষেক করবে তোমাদেরকে ক্রশে বিদ্ধ করবে
ভালোবাসা তোমাদেরকে সম্প্রসারিত করবে আবার সঙ্কুচিতও করবে
ভালোবাসা তোমাদের সমুচ্চতায় উঠে তোমাদের রৌদ্রে শিহরিত পেলব শাখাপ্রশাখাকে আলুলায়িত করবে
ভালোবাসা আবার তোমাদের মৃত্তিকামূলে নেমে এসে তাকে মার্তণ্ডে জেরবার করবে।
ভালোবাসা তোমাদের শস্যের আটির মত নিজের হৃদয়বক্ষে ধারণ করবে
তোমাদেরকে মাড়াই করে খোসামুক্ত নিরাবরণ করবে, ঝাড়াই করে তুষ থেকে আলাদা করবে
তোমাদেরকে পেষাই করে শুভ্রতামণ্ডিত করবে
তোমাদেরকে দলাইমলাই করবে আর তোমরা কমনীয় নমনীয় হ’য়ে উঠবে
এবং তারপর ভালোবাসা তোমাদেরকে পূত অগ্নিতে উৎসর্গ করবে আর তোমরা পরমেশ্বরের পবিত্র ভোজনের রুটী হ’য়ে উঠবে।
ভালোবাসা তোমাদের সাথে এইমত আচরণ করবে আর তেমরা তোমাদের গভীরগোপন হৃদয়রহস্য বিদিত হ’য়ে উঠবে
আর সেই অভিজ্ঞানে তোমরা জীবনহৃদয়ের আসঙ্গ সঙ্গী হ’য়ে উঠবে।
কিন্তু ভয়ে শঙ্কায় কাপুরুষতায় যদি তোমরা ভালোবাসার সুখ ও শান্তির সন্ধানী হও
তাহলে বরং তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে নিরাবরণ নিরাবৃতিকে ঢেকে লও, ভালোবাসার পেষণাগার থেকে তোমরা মুক্ত হও
তোমরা ঋতুহীণ নৈঋত পৃথিবীতে ফিরে যাও, সেখানে হাসতে পারবে তবু হাসবে না, কাঁদবে তবু অশ্রুনিপাত হবে না, সেই পৃথিবীতেই তোমরা ফিরে যাও, তোমরা মুক্ত হও।
ভালোবাসা নিজেকে ছাড়া কিছু অর্পণ করে না, নিজের থেকে ছাড়া কিছুই গ্রহণ করে না
ভালোবাসা অধিকার করে না, অধিকৃতও হয় না
ভালোবাসা ভালোবাসাতেই সম্পূর্ণ, আর কিছুতেই সম্পূর্ণ হয় না।
ভালোবাসলে কখনই তোমরা কেউ বোলো না ”আমার হৃদয়ের অধীশ্বর ঈশ্বর”, বরং বোলো ”অধীশ্বর ঈশ্বরের হৃদয়ে আমি অধীস্থ”
এবং কখনই ভেবো না তোমরাই ভালোবাসার পথনির্দ্দেশ, ভালোবাসার যোগ্য হ’লে ভালোবাসাই হবে হবে তোমাদের পথনির্দ্দেশ, তোমরাই হবে ভালোবাসাতে অধীস্থ।
নিজেকে চরিতার্থ করা ছাড়া ভালোবাসার আর কোন কামনা নাই
কিন্তু ভালোবাসলে তোমরা ভালোবাসার কামনানিষিক্ত হও, তোমাদের কামনা ভালোবাসানিষিক্ত হউক্ তাই:
দ্রবণে দ্রবীভূত বহমান স্রোতোধারায় যেমন রাত্রিনিশীথে কলতান মন্ত্রণা
আত্মজ চেতনায় ভালোবাসা মরমী হৃদয়ের আকুতি যন্ত্রণা
এবং সানন্দে আত্মবিদীর্ণ রক্তাক্ততায় ভালোবাসার অভিবাসন।
সুপ্রভাতের পক্ষবিহারী ডানায় হৃদয়ের উন্মেষে অনুবর্তী দিবসরাত্রির কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন, ভালোবাসায় অভিবাসন
দ্বিপ্রাহরিক বিশ্রান্তে পরমানন্দে ভালোবাসার অনুধ্যান
সায়াহ্ণলগ্নে নিজবাসে আবার নীড়ে ফিরে এসে দিবসান্তের আনন্দধ্যান
এবং তারপর তোমার প্রার্থিত প্রেমাষ্পদের প্রতি আপন ওষ্ঠাধরে নিঃসৃত প্রার্থনা সঙ্কীর্তণে নিদ্রাধ্যান।
সূত্র: সামহোয়ারইনব্লগ.কম
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন