তোমরা আইন জারি করে আনন্দ পাও
তোমরা আইন ভেঙ্গে তার চেয়েও বেশী আনন্দ পাও
ঠিক যেমন সমুদ্রবেলায় খেলতে খেলতে শিশুরা স্বতোৎসাহে বালির পাহাড় বানায়
তারপর হাসতে হাসতে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দ্যায়
কিন্তু সমুদ্র আরও বালিতে ভরিয়ে দ্যায সমুদ্রবেলা তোমরা যখন বালির পাহাড় বানাও
আর সমুদ্রও তোমাদের সঙ্গে হাসতে থাকে তোমরা যখন সব ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়ে আনন্দ পাও
বস্তুতঃ সমুদ্র সতত অবুঝ অবোধদের দেখে হাসে, (তোমরা কি আর তার ঠাওর পাও)।
জীবন যাদের কাছে সমুদ্র পারাবার নয় আর মানুষের তৈরী বিধিবিধান নয় তাদের কাছে বালির পাহাড় তাই
জীবন যাদের কাছে কঠোর পাথরপাহাড় আর আইনকানুন যাদের কাছে যেন ছেন, তা দিয়ে তারা তা নিজেদের আদলেই খোদাই করতে চায়
তোমরা তাদের কী বলবে অগত্যাই?
পঙ্গু বিকলাঙ্গ যে নাচিয়েদের দেখে ঊষ্মা বোধ করে সে নিজেই বা কী
বলদ যে তার কাঁধের জোয়ালকে গলাগলি ভালোবাসে অথচ অরণ্যের হরিণ আর এল্কেকে ষৃষ্টিছাড়া ভবঘুরে বলে ভাবে সে-ই বা কী
জড়বৃদ্ধ যে সর্প নিজের খোলস নির্ম্মোচন করতে পারে না অথচ অন্য সবাইকে বেশরম বেহায়া উলঙ্গ বলে ভাবে সে-ই বা কী
আর সে-ই বা কী যে বিবাহভোজের পূর্ব্বাহ্ণেই হাজির হয় আর ভরপেট ভোজন করে বলতে বলতে বাড়ি ফিরে যায় যে সমস্ত ভোজই বিধিলঙ্ঘন, সমস্ত ভোজীরাই নিয়মভঙ্গকারী?
তাদের সম্পর্কে কী-ই বা বলি আমি? শুধু বলি তারাও রৌদ্রালোকে দাঁড়িয়ে থাকে, অপিচ সূর্য্যরে দিকে পিছন ফিরে
তারা শুধু তাদের ছায়াই দ্যাখে এবং তাদের আইন তাদের কানুন তাদের ছায়াকেই ঘিরে
আর তাদের কাছে যে শুধুই ছায়াপাত করে সূর্য্য তাদের কাছে আর কী-ই বা
এবং আইনমন্য তাদের কাছে আইনের বশ্যতা স্বীকার আর ভূমিতে নিজেদের ছায়ানুসন্ধান, (আইন তাদের কাছে আর কী-ই বা)?
তোমরা যারা সূর্য্যরে দিকে মুখ ফিরিয়ে হাঁটো মৃত্তিকায় আনত প্রতিবিম্ব তোমাদের ধরে রাখতে পারে কি?
আর তোমরা যারা বাতাসকে সঙ্গে করে চল বায়ুপতাকা তোমাদের পথনির্দ্দেশ করে কি?
তোমরা যদি দাসত্বের জোয়াল ভেঙ্গে ফেলতে চাও তবে মানুষের কোন আইন তোমাদের বেঁধে রাখবে আটকে?
ভেঙ্গে যদি ফেলতেই চাও তবে তা ভাঙ্গো না যেন মানুষের কোন বন্দীশালার ফাটকে।
আইনকে তোমাদের কিসের এত ভয় হেন?
তা থৈ যদি নৃত্যই কর তবে মানুষের শৃঙ্খলবেড়িতে হোঁচট খেয়ে নয় যেন।
মানুষের চলার পথে তোমাদের ছিন্ন বসনকে ফেলে না রাখো যদি তবে তোমাদের বিচারের কাঠগড়ায় তুলবে এমন কে আছে?
হে অরফালিজবাসীগণ! তোমরা মৃদঙ্গডঙ্কার শব্দ রোধ করতে পারো এবং বীণার তন্ত্রীকে শিথিল করতে পারো কিন্তু আকাশচাতকের কুঞ্জন রোধ করার ফরমান জারি করবে এমন কে আছে?
সূত্র:দরবেশ,সামহোয়ারইনব্লগ.কম
তোমরা আইন ভেঙ্গে তার চেয়েও বেশী আনন্দ পাও
ঠিক যেমন সমুদ্রবেলায় খেলতে খেলতে শিশুরা স্বতোৎসাহে বালির পাহাড় বানায়
তারপর হাসতে হাসতে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দ্যায়
কিন্তু সমুদ্র আরও বালিতে ভরিয়ে দ্যায সমুদ্রবেলা তোমরা যখন বালির পাহাড় বানাও
আর সমুদ্রও তোমাদের সঙ্গে হাসতে থাকে তোমরা যখন সব ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়ে আনন্দ পাও
বস্তুতঃ সমুদ্র সতত অবুঝ অবোধদের দেখে হাসে, (তোমরা কি আর তার ঠাওর পাও)।
জীবন যাদের কাছে সমুদ্র পারাবার নয় আর মানুষের তৈরী বিধিবিধান নয় তাদের কাছে বালির পাহাড় তাই
জীবন যাদের কাছে কঠোর পাথরপাহাড় আর আইনকানুন যাদের কাছে যেন ছেন, তা দিয়ে তারা তা নিজেদের আদলেই খোদাই করতে চায়
তোমরা তাদের কী বলবে অগত্যাই?
পঙ্গু বিকলাঙ্গ যে নাচিয়েদের দেখে ঊষ্মা বোধ করে সে নিজেই বা কী
বলদ যে তার কাঁধের জোয়ালকে গলাগলি ভালোবাসে অথচ অরণ্যের হরিণ আর এল্কেকে ষৃষ্টিছাড়া ভবঘুরে বলে ভাবে সে-ই বা কী
জড়বৃদ্ধ যে সর্প নিজের খোলস নির্ম্মোচন করতে পারে না অথচ অন্য সবাইকে বেশরম বেহায়া উলঙ্গ বলে ভাবে সে-ই বা কী
আর সে-ই বা কী যে বিবাহভোজের পূর্ব্বাহ্ণেই হাজির হয় আর ভরপেট ভোজন করে বলতে বলতে বাড়ি ফিরে যায় যে সমস্ত ভোজই বিধিলঙ্ঘন, সমস্ত ভোজীরাই নিয়মভঙ্গকারী?
তাদের সম্পর্কে কী-ই বা বলি আমি? শুধু বলি তারাও রৌদ্রালোকে দাঁড়িয়ে থাকে, অপিচ সূর্য্যরে দিকে পিছন ফিরে
তারা শুধু তাদের ছায়াই দ্যাখে এবং তাদের আইন তাদের কানুন তাদের ছায়াকেই ঘিরে
আর তাদের কাছে যে শুধুই ছায়াপাত করে সূর্য্য তাদের কাছে আর কী-ই বা
এবং আইনমন্য তাদের কাছে আইনের বশ্যতা স্বীকার আর ভূমিতে নিজেদের ছায়ানুসন্ধান, (আইন তাদের কাছে আর কী-ই বা)?
তোমরা যারা সূর্য্যরে দিকে মুখ ফিরিয়ে হাঁটো মৃত্তিকায় আনত প্রতিবিম্ব তোমাদের ধরে রাখতে পারে কি?
আর তোমরা যারা বাতাসকে সঙ্গে করে চল বায়ুপতাকা তোমাদের পথনির্দ্দেশ করে কি?
তোমরা যদি দাসত্বের জোয়াল ভেঙ্গে ফেলতে চাও তবে মানুষের কোন আইন তোমাদের বেঁধে রাখবে আটকে?
ভেঙ্গে যদি ফেলতেই চাও তবে তা ভাঙ্গো না যেন মানুষের কোন বন্দীশালার ফাটকে।
আইনকে তোমাদের কিসের এত ভয় হেন?
তা থৈ যদি নৃত্যই কর তবে মানুষের শৃঙ্খলবেড়িতে হোঁচট খেয়ে নয় যেন।
মানুষের চলার পথে তোমাদের ছিন্ন বসনকে ফেলে না রাখো যদি তবে তোমাদের বিচারের কাঠগড়ায় তুলবে এমন কে আছে?
হে অরফালিজবাসীগণ! তোমরা মৃদঙ্গডঙ্কার শব্দ রোধ করতে পারো এবং বীণার তন্ত্রীকে শিথিল করতে পারো কিন্তু আকাশচাতকের কুঞ্জন রোধ করার ফরমান জারি করবে এমন কে আছে?
সূত্র:দরবেশ,সামহোয়ারইনব্লগ.কম
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন